বেশি কিছু বলা যায় না
ক্ষুধার্ত পেট,শক্তিহীন দেহ, ঘুমের নেশায় বিভোর চোখে, ভালোবাসার মিষ্টি আলাপ আর আবেগের গানগুলো বড্ড বেমানান এই শহরে।
ভালো থাকার জন্য চাই শুধু টাকা, শুধুই টাকা।
টাকা ছাড়া প্রত্যেকটা মুহুর্ত অসহায়, অসহায় জীবনের গল্পগুলো।
শুনে দেখুন না, একজন ব্যাচেলর ছেলের ভেতরে লুকিয়ে থাকা কিছু ক্ষতের কাহিনী, সেক্রিফাইসের গল্পগুলো।
কষ্ট হবে, সমবেদনা আসবে, সহানুভুতি আর করুনা নয়।
তবুও প্রতিনিয়ত স্বপ্নের পেছনেই দৌড়ে ক্লান্ত হতে হয়।
আবেগ শুধু তাদের জন্যই ,
যারা বাস্তবতা নামক কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হয়নি।
বাবা মায়ের কোলে বসে খাচ্ছে আর ঘুমাচ্ছে, তাদের মুখেই এই প্রেমালাপ মানায়।
তারাই শুধু এই একবিংশ শতাব্দির রোমান্সকর কল্পকাহিনী, আর লুতুপুতু আবেগ ভরা সস্তা ভালোবাসার গল্প নিয়ে বিজি।
আরে ভাইয়া থামেন, আজকাল আর আবেগ দিয়ে, বাবু সোনা, ময়না দিয়ে জীবন চলেনা,
বড় জোর খুব সুন্দর ভাবে জীবনের স্বপ্নকে হত্যা করা যায়, পাওয়া যায় দুঃখের পরেও কিছু অতিরিক্ত কষ্টের হাতছানি আর হৃদয় পোড়ানোর মন্ত্র।
জীবন মানেই প্রতিনিয়ত যুদ্ধের সম্মুখীন হওয়া।
বললেই বড় কোম্পানীর ম্যানেজার হওয়া যায়না।
একবার ভেবে দেখুন , কতটা পরিশ্রম করে আমাদের বাবা মা আমাদের জন্য।
বাবাকে একান্তে জিজ্ঞেস করুন, মা কে খুব কাছ থেকে দেখুন।
জানার চেষ্টা করুন, কিভাবে এতদূর আমাদের কে নিয়ে এসেছে। কতটা ত্যাগ আর পরিশ্রমের ফসল হিসেবে আজ আমরা এই অবস্থানে এসে পৌচেছি।
যতটুকুই করেছেন, অন্তত অক্ষরজ্ঞান তো শিখিয়েছেন?
মায়ের হাতের রান্না খুব মিস করছি বলে ছোট্ট একটা স্ট্যাটাস আপলোড করা ছাড়া আর কি বাঁ করার থাকে?
সম্ভব হয়না ছুটে যাওয়া মা নামক বট বৃক্ষের শীতল ছায়াতলে।
ভালোবাসি খুব বেশি , প্রকাশ করার ভাষা পাইনা খুঁজে।
কেমন আছেন?
কি করেন?
এর বেশি আর কিছুই বলা হয়না, বলতে পারিনা ইচ্ছা থাকলেও।
মাঝে মাঝে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হয়,
বাবা, মা , তোমাদেরকে অনেক ভালোবাসি, অনেক মিস করি।
স্বপ্ন থাকে ছেলে মেয়েকে নিয়ে।লেখাপড়া করবে , বড় হয়ে ভালো চাকরী করে পরিবারের দুঃখ লাগব করবে। শেষ বয়সে বাবা মায়ের পাশে থাকবে।
কিন্তু কে জানতো? আজকাল বাবা মায়ের সেই স্বপ্ন পূরণ করা এতটা কঠিন হবে?
তাদের সেই ইচ্ছা আকাঙ্খা আর স্বপ্নকে নিমিষেই গলা টিপে হত্যা করতে হয়, চষে , পা মাড়িয়ে এগিয়ে যেতে হয় অজানায়।
বলতে হয় শান্তনার ভাষায়, আম্মু , আব্বু চিন্তা করোনা কিছু একটা হয়ে যাবে নিশ্চই। তোমাদের আর কষ্ট করতে হবেনা।
সধ্যের বাইরে জেনেও কখনো কখনো বলতে হয় কথাগুলো। কারণ নিজে কষ্ট পেয়েও অন্যকে আশার আলো দেখানোও একটা আর্ট।
যা সবাই পারেনা, সম্ভব ও হয়না সবার দ্বারা।Prrbook
Upworkmarket
postmaster
topguru
monstarpublic
usamarking
powerbank
cutly
Redifiv
bookstar
link Youtubbook
tumblrro
Postmind
Probook
SocialMarking
Prrmarsub
Hastagcode
Wortweb
wwwsmbook
quora-answer
curred-add
wordpress-wo
classifiedsa
Top-Backlinks
Aliexpress
Twin-M
F-s-a-m-f
Gabsocialm
Temp Mail
সকালের খাবার তো কখনোই খাওয়া হয়না হাজারো স্বপ্নময়ী ব্যাচেলর নামক এক অসহায় প্রানীদের।
মাঝে মাঝে দুপুরের কড়া রোদের মাঝেও টঙ দোকানের কলা রুটি আর চা হয়ে যায় দুপুরের লাঞ্চ। অবিশ্বাস্য লাগছে?
খোজ নিয়ে দেখতে পারেন।
যেখানে টাকাওয়ালা দের থাকে নানান রকমের নিত্য নতুন রেসিপির মুখরোচক সব খাবার।
রাতে কখনো ভাঁজি, ডিম আর ডাল, হয়ে যায় ডিনার।
লজ্জা নেই বলতে, বাস্তবতা তো কাউকে ছাড় দেয়না।
মাসের প্রথমেই বাড়ি ভাড়ার টাকা, খাবারের টাকা জোগাড়ে হিমশিম খাওয়া ছেলেটিও হাসিমুখে হেটে বেড়ায়, সবার সাথেই মিশে কথা বলে অনায়াসেই।
জীবন চলছে , চলবেই ।
দাগ কেটে যাবে উত্তপ্ত মরুর বালিপথে।
মুছে যাবে নিমিষেই হঠাত এক বালির ঝড়ে।
নিঝুম রাতের নিস্তদ্ধ পরিবেশ নিঃসঙ্গতায় বেড়ে যায় হতাশা, একাকিত্ত্বের নেই শেষ , ঘুমায় শেষ রাতে উঠে ঠিক সকাল বেলা।
কারণ?
কারণ আবারো যে যতে হবে যুদ্ধের ময়দানে, জীবন যে গল্প তৈরির এক কারখানা। গল্পের মাঝেই বেঁচে থাকা, গল্পই জীবনের পথচলা।
একটা প্রশ্ন মনের কোনে উঁকি দেয় বারবার,
জীবন কেনো এত রঙ বদলায় ??
চা, সিগারেটের ধোঁয়ার সাথে স্বপ্ন উড়ে যায়.....
১৮ নভেম্বর ২০১৬
Comments
Post a Comment